Skip to main content

The Next Pandemic (Part III- Ebola's Journey)

  • ১)
১৯৭৬ সালের তিন বছর পর দক্ষিণ সুদানে ইবোলা  আবারো মানুষকে তার শিকার হিসেবে ধরতে সক্ষম হয়েছিল। তখন দক্ষিণ সুদানে যুদ্ধ চলছিল। বড় ধরনের মহামারী ঘটার উপযোগী পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল দক্ষিণ সুদানে। আমেরিকার C.D.C (Centers for Disease Control) ইবোলা আউটব্রেকের রিপোর্ট দেখে বুঝতে পেরেছিল যে ,পরিস্থিতি ভয়াবহ। তখন সিডিসিতে কর্মরত ইবোলার কো-ডিসকভারার Joseph McCormick সুদানে গিয়ে ব্লাড স্যাম্পল সংগ্রহ করে সিডিসিতে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ইবোলার ভয়ে কেউ তার সাথে যেতে রাজি হচ্ছিল না।

বাধ্য হয়ে একটা লাইট এয়ারক্রাফটে
দুইজন পাইলটের সাথে ডা. জোসেপকে সুদানে যেতে হয়।রাতে সুদানের Zande নামক গ্রামে এসে তারা ল্যান্ড করেন।পাইলট দুইজন ডা. জোসেপকে সকাল পর্যন্ত সময় দেয়,সকাল হবার পর ডা. জোসেপ ফিরে না আসলে তারা চলে যাবে।
ডা. জোসেপ ইবোলার স্যাম্পল সংগ্রহ করতে সফল হন কিন্তু এক রোগীর রক্ত নেবার সময় রোগীর শরীর জোরে কেঁপে উঠে যার ফলে সিরিঞ্জের নিডলটা তার বুড়ো আঙ্গুলে হালকা ঢুকে যায়। ডা. জোসেপের ভাগ্য ভাল ছিল ।ইবোলা ইনফেক্টেড মনে করে যে রোগীর চিকিৎসা তিনি করছিলেন  সে আসলে ম্যালেরিয়ার রোগী ছিল।[১]
ডা. জোসেপ ইবোলার যে স্ট্রেন নিয়ে কাজ করেছিলেন সেটা ছিল সুদান ইবোলা ভাইরাস। ১৯৭৯ সালের  এপিডেমিকে এর Mortality Rate ছিল ৬৫%  ,১৯৭৬ সালে ছিল ৫৩%। [২]

ডা. জোসেপের মত সাহসী অনেক ডাক্তারই ইবোলার আউটব্রেকগুলোতে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন কিন্তু  মেডিক্যাল সাইন্স এখনো ইবোলার বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারেনি যেভাবে পেরেছিল স্মলপোক্স ও পোলিওর বিরুদ্ধে জয়ী হতে। কিন্তু কেন একে জয় করা যাচ্ছে না? কিছু টেকনিক্যাল টার্ম বুঝতে পারলে এর উত্তর পাওয়া যাবে।
  • ২)


১৯৭৬ সালে ইবোলা আফ্রিকাতে আত্মপ্রকাশ করেছিল।অনেকে হয়তো ভাবেন যে আফ্রিকা থেকেই এত ভাইরাসের আত্মপ্রকাশ কেন ঘটে? এর কারণ হল আফ্রিকার কিছু কিছু দেশের চরম দারিদ্রতা ও কিছু গোষ্ঠীর কালচার এবং আফ্রিকার অসাধারণ জীববৈচিত্র্য।
আফ্রিকার জঙ্গলের আশেপাশের গ্রামগুলোর মানুষরা মূলত শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে।আধুনিক পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করে খাবার সংগ্রহ করার সামর্থ্য তাদের অনেকেরই নেই।এজন্য এরা বনের বানর,শিম্পাঞ্জিসহ আরো নানাধরনের প্রাণীর মাংস খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।মাংস কাটা,খাওয়া এবং পশু শিকার কররে গিয়ে পশু দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো দ্বারাই মূলত  ভাইরাস  শিকারী ও তাদের পরিবারের মধ্যে সংক্রামিত হয়।

 প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ভাইরাসের ট্রান্সমিট হবার এই প্রক্রিয়াকে Zoonosis বলে। আর যে ভাইরাসগুলো এভাবে ছড়াতে পারে সেগুলোকে Zoonotic Virus বলা হয়। মানুষের ইনফেকশনের শতকরা ৬০ পার্সেন্ট Zoonosis এর কারণে হয়েছে অর্থাৎ  প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে মাইক্রোভ প্রবেশ করার ফলে ইনফেকশন ঘটেছে।[৩]  

ইবোলার প্রাকৃতিক ধারক পোষকের সন্ধান এখনো পাওয়া যায় নি। তবে বাঁদুরের ধারক পোষক হবার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে।[৪] তাহলে ইবোলার Chain Of Transmission কে এভাবে দাঁড় করানো যেতে পারে- পোষক বাঁদুরের খাওয়া ফল বানর খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে ইনফেক্টেড হয় , আবার সেই বানরের মাংস খেয়ে শিম্পাঞ্জী ইনফেক্টেড হয় ,এরপর মানুষ শিম্পাঞ্জীর মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ইনফেক্টেড হয়। আবার মানুষ থেকে অন্য প্রাণীতেও ইবোলা যেতে পারে।মানুষ থেকে অন্য প্রাণীতে ভাইরাসের ট্রান্সমিশনের ঘটনাকে Anthroponosis বলে। Zoonosis  আমাদের খাদ্যাভাসের উপর অনেকটাই নির্ভর করে। Biological Magnification টার্মটা বুঝতে পারলে বিষয়টা আরো ক্লিয়ার হবে।

প্রেগনেন্সির সময় কিছু কিছু মাছ খেতে ডাক্তাররা নিষেধ করেন।খাদ্য জালকে বিভিন্ন কেমিক্যালের ট্রান্সমিশন দেখে ডাক্তাররা এই সাজেশন দেন। যেমন ধরুন- সমুদ্রের জটিল খাদ্য জালকে, মাছ ছোট ছোট ক্রাস্টাসীয়ান প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে ,সেই মাছ আবার আরো বড় মাছের খাদ্য হয়।এভাবে ফুড চেইনের সর্বোচ্চ খাদক পর্যন্ত এটা চলে।ক্রাস্টাসীয় প্রাণীরা পরিবেশ থেকে বিষাক্ত মারকারি সংগ্রহ করে জমিয়ে রাখে  ফলে যে মাছগুলো  এদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে  সে মাছগুলোতে আরো বেশি মারকারি জমা হয়।আবার যে বড় মাছগুলো ছোট মাছগুলো খায় সেগুলোতে মারকারির পরিমাণ আরো বেড়ে যায়।তাই ফুড চেনে সর্বোচ্চ স্তরে থাকা কোন কোন  মাছে (যেমন-টুনা) বিষাক্ত কেমিক্যালের পরিমাণ বেশি থাকে যা কিনা ফিটাসের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। [৫]

এখন মাইক্রোভের ক্ষেত্রে ঘটনাটা দেখুন। ছোট শ্রেণীর পোষকে স্বাভাবিকভাবেই মাইক্রোভের সংখ্যা কম থাকে।কিন্ত যারা সেগুলোকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তাদের শরীরে মাইক্রোভের সংখ্যা আরো বেড়ে যায়।এভাবে শিম্পাঞ্জির মত প্রাণীতে মাইক্রোভ ওয়ার্ল্ড বা Microbiome সহজেই তৈরি হয়। একে Microbial Magnification বলা যেতে পারে। আর এই ম্যাগনেফিকেশনের জন্য ভাইরাসের  Gene Swapping করা সহজ হয় কারণ বিশাল মাইক্রোভ ওয়ার্ল্ডে একই শ্রেণীর অন্য জাতের ভাইরাসের মধ্যে ইন্টারেকশন হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ফলে নতুন ধরনের মিউট্যান্ট ভাইরাস তৈরী  হবার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

নতুন যুওনোটিক ভাইরাস দিয়ে মানুষ ইনফেক্টেড হলে তা প্রথমে  নন-প্যাথোজেনিক স্টেজে থাকতে পারে। যেমনটা হয়েছিল HIV এর ক্ষেত্রে। কিন্তু মিউটেশনের ফলে ভাইরাস প্যাথোজেনিক স্টেজে যেতে পারে।আবার  নতুন অবস্থাতেই প্যাথোজেনিক হতে পারে। 

লক্ষণীয় বিষয় হল যে ইবোলা ও HIV উভয়ই RNA ভাইরাস। DNA ভাইরাস থেকে RNA ভাইরাসের মিউটেশন বেশি হয়।স্তন্যপায়ী প্রাণীর কোষের DNA কপি হবার প্রকিয়াটা খুব শক্তভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই ক্ষেত্রে একটা প্রুফ সিস্টেমের মধ্য দিয়ে DNA কে যেতে হয়। ড্যামেজড বা মিসকপিড DNA চেক করে কারেকশন করার জন্য বেশ কিছু চেকপয়েন্ট  থাকে। যদি দেখা যায়  DNA খুব  বেশি ড্যামেজড হয়েছে যার কারণে তা কারেকশনের অযোগ্য হয়ে পড়েছে তাহলে কোষ তার 'auto-destruct' প্রোগাম 'Apoptosis' এর মাধ্যমে কোষকে ধ্বংস করে দিয়ে ড্যামেজড DNA এর অগ্রসরে বাধা দান করে। তারপরেও কিছু ভুল হয়ে যায় ফলে মিঊটেটেড DNA এর রেপ্লিকেশন হয় এবং তা পরবর্তী প্রজন্মে অগ্রসর হয়।[৬]

যুওনোটিক ভাইরাসের একাধিক পোষক থাকায় এদের মধ্যে সহজেই মিঊটেশন ঘটতে পারে।আর সেটা যদি RNA ভাইরাস হয় তাহলে তো মিউটেশন আর সহজ ও র‍্যাপিডলি হয়।ফলে এদের কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরী করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।কারণ  এক স্ট্রেইনের ভাইরাসের ভ্যাক্সিন অন্য স্ট্রেইনের  জন্য কাজ নাও করতে পারে।যুওনোটিক ভাইরাসে মিউটেশন রেট বেশি হওয়ায় তাদের ডাইভারসিটি বেশি হয় আর এই কারণেই ভ্যাক্সিন তৈরী খুব কঠিন হয়ে যায়।

The Hot Zone বইয়ের লেখক Richard preston এই সম্পর্কে বলেন-
" The fact that the virus mutates rapidly means that vaccines for it will be very difficult to develop। " (The Hot Zone)

এই কারণে ইবোলা , এইচআইভি,মার্ভারগ ভাইরাস (ইবোলার সিস্টার ) ইত্যাদির কার্যকর কোন ভ্যাক্সিন নেই ।তবে যুওনোটিক  হলেই যে ভ্যাক্সিন তৈরী করা যাবে না বিষয়টা এমন না।ভ্যাক্সিন তৈরী করা যাবে কিন্তু সেটা কিছু স্ট্রেইনের জন্যই কার্যকর হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কথা বলা যায়।এই কিছু দিন আগে ফ্লু ভ্যাক্সিন নিয়ে একটা নিউজ ছিল যে এই বছর  আমেরিকাতে ছড়িয়ে পরা ফ্লু ভাইরাসের ভ্যাক্সিন ভাল প্রটেকশন দিচ্ছে না কারণ ভ্যাক্সিনটা তিন বা চারটা স্ট্রেইনের জন্য কার্যকর।কিন্তু নতুন যেটা ছড়িয়ে পড়ছে সেটা একটা মিউট্যান্ট স্ট্রেইন। রিপোর্টটার শুরুতে বলা হয়েছে-

"Much of the influenza virus circulating in the United States has mutated and this year's vaccine doesn't provide good protection against it, federal health officials are warning. " [৭]

 কিছু ভাইরাসের  কার্যকর ভ্যাক্সিন না থাকার আরো একটা কারণ হল যে, যুওনোটিক ভাইরাসরা অন্য পোষকদেহে লুকাতে পারে।
David Quammen এর ভাষায়-
" Zoonotic Pathogens can hide. That's what makes them so interesting, so complicated, and so problematic. "  [Spillover by David Quammen ]

এই লুকানোর ক্ষমতাই অনেক প্যাথোজেনকে বাঁচিয়ে রেখেছে।আবার যেগুলো Zoonotic ভাইরাস নয়, যেমন- Human Smallpox Virus (Variola) সেগুলোর লুকোনোর মত কোন জায়গা নেই। আর এই কারণেই মানুষের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ প্যাথোজেন Variola কে পরাজিত করা সম্ভব হয়েছে। 
তবে Zoonotic ভাইরাসের কার্যকর ভ্যাক্সিন যেটা কিনা বেশিরভাগ বা সকল স্ট্রেইনকে ধ্বংস করতে পারবে সেটা  তৈরী করার সম্ভাবনা আছে। একটা হাইপোথিসিস অনুযায়ী যদি ভাইরাসের  Common Core  জিনগুলোকে  এটাক করা যায় তাহলে হয়তো এই ধরনের ভ্যাক্সিন বা ড্রাগ তৈরী করা সম্ভব হবে।[৮]

  • ৩)
ইবোলা ভাইরাস আফ্রিকাতে কীভাবে ভ্রমণ করছে তা নিয়ে মতভেদ আছে। এই বিষয়টা ব্যাখা করার জন্য দুটো পরস্পর বিরোধী হাইপোথিসিস আছে এবং উভয়ের পক্ষেই ভাল কিন্তু অনিশ্চায়ক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ।একটা হাইপোথিসিস হল ভাইরোলজিস্ট  Eric Leroy এর আরেকটা হল ইকোলজিস্ট Peter Walsh এর।

Leroy এর মতে ইবোলা পুরো সেন্ট্রাল আফ্রিকাতেই ছড়িয়ে আছে।তাই মাঝে মাঝে যে আউটব্রেকগুলো হয় সেগুলো পৃথক ঘটনা।এক আউটব্রেকের সাথে আরেকটার  সরাসরি সম্পর্ক নেই। ইবোলা আসবে, মারবে ,চলে যাবে।

কিন্তু Walsh এর মতে ইবোলা আদি কোন ভাইরাল অ্যানসেস্টর থেকে আসা নতুন ভাইরাস। সব লোকাল আউটব্রেকের ইভেন্টগুলো কানেক্টড , আইসোলেটেড না। এই হাইপোথিসিস অনুযায়ী ইবোলা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে এবং নতুন ধারক পোষক গ্রহণ করবে যাতে যাত্রা কোন কারণে বন্ধ হলে পুনরায় শুরু করা যায়। [৯]

ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে  ইবোলা ভাইরাসের একটা বড় ধরনের সমস্যা আছে । এই ভাইরাসের  Lethality বেশি হলেও এর Infectivity কম।প্যান্ডেমিক সৃষ্টির জন্য  ভাইরাসের Mortality Rate আর Basic Reproduction Number এর মাঝে ব্যালেন্স থাকাটা জরুরি।

একজন ইনফেক্টেড পার্সন দ্বারা যতজন মানুষ ইনফেক্টেড হতে পারে তা বুঝাতে Basic Reproduction Number (R nought)  ব্যবহার করা হয়। এক এক মাইক্রোভের ক্ষেত্রে R nought এক একরকম হয়।ইবোলার ক্ষেত্রে এটা হল 1.5-2.5 (2014 Ebola Strain) যা কিনা ভ্যারিওলার থেকে প্রায় 4 থেকে 5 কম।[১০]  এর উপর আবার এটা বায়ু দ্বারা ছড়াতে পারে না ।
 তাছাড়া ইবোলার দ্বারা সৃষ্ট রোগের উপসর্গগুলো খুব সহজেই বুঝা যায়।যার ফলে ইনফেক্টেড পার্সনদের সহজেই আইসোলেট করা যায় অর্থাৎ quarantine তৈরী করা সহজ হয়।কিন্তু ইবোলার যদি ফ্লু ভাইরাসের মত কম লেথালিটি কিন্তু বেশি ইনফেক্টিভিটি থাকত তাহলে হয়তো ইবোলার কারণে বড় ধরনের একটা প্যান্ডেমিক সৃষ্টি হতে পারত।

তবে Ebola Reston নামে একটা স্ট্রেইন আছে যা কিনা বায়ুর মাধ্যমে বানর থেকে বানরে আপাতদৃষ্টিতে ছড়াতে সক্ষম বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।[১১]
১৯৮৯ সালে আমেরিকার রেস্টনের The Hazleton  Monkey  House এ এই স্ট্রেইনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।Monkey  House এর  বানররা ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে একের পর এক মারা যাচ্ছিল এবং ইনফেকশন ছড়াচ্ছিল বায়ুর মাধ্যমে । অবাক করার বিষয় হল বানরগুলোকে আফ্রিকা থেকে ইমপোর্ট করা হয়নি ,সেগুলো ফিলিপাইন থেকে ইম্পোর্ট করা হয়েছিল।

এই ঘটনায় সেই Monkey  House এর চারজন ইনফেক্টেড হয়েছিল কিন্তু কেউ মারা যায় নি।মানুষের ক্ষেত্রে  0% Mortality Rate! এই বিষয়টা যেমন আশ্চর্যজনক তার থেকে বেশি আশ্চর্জনক বিষয় হল চারজনের একজন Scalpel এর দ্বারা কাটার মাধ্যমে ইনফেক্টেড হলেও বাকি তিনজন কোন কাটাছেড়া ছাড়াই ইনফেক্টেড হয়েছিল আর সম্ভবত বায়ুর মাধ্যমেই সেটা হয়েছিল![১২]

আরো বড় সমস্যা হল যে সিডিসি এই তিনজনের একজনকে খোলামেলা চলাচল করার অনুমতি দিয়েছিল।এই কাজটা করা অবশ্যই ভুল হয়েছে। হয়তো ইবোলার এই ভুলটারই দরকার ছিল।যদি এই ভুলের কারণে ইবোলা আমেরিকায় নতুন কোন ধারক পোষক পেয়ে যায় এবং লুকিয়ে থেকে কোনভাবে Gene Swapping করে মানুষের মাঝে রোগ সৃষ্টি  করতে সক্ষম স্ট্রেইনে পরিণত হয় তাহলে হয়তো আমাদেরকে  আরেকটা ব্ল্যাক ডেথ দেখতে হতে পারে ।

শেষ কথা :- বিখ্যাত লেখক ও ইভ্যুলুশনারি বায়োলজিস্ট  কার্ল জিমারের এক আর্টিকেলে পড়েছিলাম যে ইবোলার বর্তমান আউটব্রেকটা কোন মিউট্যান্ট দিয়ে হয়নি।আর এটা Pandemic Potential ও না। কিন্তু ইবোলা হয়তো একদিন  মিউট্যান্টরূপে   আসবে এবং Pandemic Potential হবে।তাই  Richard Preston এর মত বলব-
"It will be back. "

তথ্যসূত্র:-
[১]The Hot Zone by Richard Preston ,Chapter- Shoot-out

[২]Viruses, Plagues,and History by Michael B. A. Oldstone ,Chapter-10

[৩]Spillover by David Quammen ,Chapter-3

[৪]www .cdc.gov/vhf/ebola/about.html

[৫]The Viral Storm by Nathan Wolfe,Chapter-The Hunting Ape

[৬]Viruses: A Very Short Introduction by Dorothy Crawford, Chapter-1

[৭]www.nbcnews.com/health/cold-flu/cdc-warning-flu-viruses-mutate-evade-current-vaccine-n261226

[৮]A Planet of Viruses by Carl Zimmer , Chapter-The Uncommon Cold

[৯]Spillover by David Quammen, Chapter- 21

[১০]en.wikipedia.org/wiki/Basic_reproduction_number

[১১]www.scientificamerican.com/article/fact-or-fiction-the-ebola-virus-will-go-airborne/

[১২]The Hot Zone by Richard Preston, Chapter-The most dangerous strain

[১৩]http://phenomena.nationalgeographic.com/2014/10/14/ebolas-past-and-future/

Comments

Popular posts from this blog

ভূমিকম্প ও ধর্মীয় বিশ্বাস

  ভূমিকম্প হওয়ার পর কতিপয় নাস্তিক ভ্রাতা তাদের স্বভাবমত বিশ্বাসীদের ব্যংগ করেছিল এই বলে যে , “ পূর্বে মানুষেরা বজ্রপাত দেখলে ভয় পেত এবং বজ্রপাতের মেকানিজম না জানায় তারা অজানা বিষয়গুলোর মেকানিজমের ক্ষেত্রে স্রষ্টার কথা উল্লেখ করত। ” ভূমিকম্পসহ যেকোন ধরনের প্রাকৃতিক ঘটনার মেকানিজম সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণাই হল যে , প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো কিছু Natural Laws মেনে চলে বলে সেগুলো ঘটে। তবে Plausible ধারণা হল এটাই যে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো মূলত দুইভাবে ঘটতে পারে - ১ )Directional Mechanism এর মাধ্যমে ২ ) Automatic Mechanism এর মাধ্যমে Deist রা বিশ্বাস করে যে স্রষ্টা Natural Laws কে তার নিজের মত কাজ করতে দেয় , ন্যাচারাল প্রসেসে Intervene করেন না।অর্থাৎ এরা পুরোপুরি Automatic Mechanism এ বিশ্বাস করে। কিন্তু একজন মুসলিম এইধরনের ধারণায় বিশ্বাস করে না। বরং স্রষ্টা যেকোন সময় সৃষ্টিজগতে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। এখন এই দুই মেকানিজম সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু ব্যাখ্যা দেই।এ

The Origin Of Science

১) বিজ্ঞানের প্রাথমিক বিষয়গুলোর উৎস কি ? সব কিছুরই একটা উৎস আছে । বিজ্ঞানেরও আছে।আপনি যদি ডারউইনিস্টদের মত ভাবেন বিজ্ঞান শুধুমাত্র মানবজাতির জানার আগ্রহ থেকে জন্ম নিয়েছে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের এত উন্নতির পিছনে মূলত দুইটা কারণ আছে।একটা হল মধ্যযুগের মুসলিমদের দ্বারা বিজ্ঞান চর্চা , আরেকটা হল ইউরোপের বিজ্ঞান বিপ্লব যা কিনা শুরু হয়েছিল Giordano Brunoর মাধ্যমে এবং শেষ হয়েছিল নিউটনের Principia Mathematica দিয়ে।এরপর মানবজাতিকে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে আর বেশি কষ্ট করতে হয়নি। এখানে অবাক করার বিষয় হল

বৃত্ত

বৃত্ত (Circle) ও গোলকের (Sphere) মাঝে কিন্তু পার্থক্য আছে। বৃত্ত হল Two dimensional Shape কিন্তু গোলক হল Three dimensional Shape।এই কারণে আমরা কাগজে বৃত্ত আঁকতে পারি কিন্তু গোলক আঁকতে পারি না। Edwin Abbott এর Flatland: A Romance of Many Dimensions নামে একটা বই আছে। বইটার কাহিনী কিছুটা এইরকম--