Skip to main content

The Magnificent Biological Sensor

গত ২২ সেপ্টেম্বর মার্ক ফেসবুকে একটা নোট পাবলিশ করেন “Can we cure diseases in our children’s lifetime?” নামে। আমি নোটটার কিছু অংশ নিয়ে নিজের মতামত দিব যদিও সময় কম থাকায় কিছু পয়েন্ট মিস হতে পারে। ১)
“I'm an engineer, and I think this hope is part of the engineering mindset. It's the belief that you can take any system and make it much better -- whether it's code, hardware, biology, a company, an education system, a government – anything.”
‘Biological System’ অন্য যেকোন সিস্টেম থাকা সম্পূর্ণ আলাদা।আপনি অন্যান্য ধরনের ননলিভিং সিস্টেমে যে ধরনের Causation পাবেন বায়োলজিক্যাল সিস্টেমে সে ধরনের Causation পাবেন না ।বায়োলজিক্যাল সিস্টেমে Top-down (eg-Homeostasis) ,bottom-up (eg.gene-protein network) ছাড়াও Middle-out নামেও একটা Causation level দেখা যায়। তার মানে আপনি Multi-level interection systems পাচ্ছেন যে সিস্টেমগুলোতে আবার অসংখ্য ফ্যাক্টরের ইন্টারেকশন হয়। তাই বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের সাথে
মানুষের সৃষ্ট কোন সফটওয়্যার সিস্টেমে তুলনা করা উচিত না (যদিও সহজভাবে বুঝানোর জন্য অনেকে সফটওয়্যারের এনালজি দিয়ে থাকেন)। আরো জানতে চাইলে সিস্টেমস বায়োলজি সম্পর্কে হালকা ধারণা লাগবে ,সেজন্য Denis Noble এর The Music of life পড়ে দেখা যেতে পারে।
২) “Priscilla and I have spent the last few years talking to dozens of top scientists and experts who believe it's possible to cure, prevent or manage all diseases by the end of this century.”
Hemochromatosis নামের জেনেটিক ডিজিজে শরীর অতিরিক্ত আয়রন জমা হয় ।এটা নিয়ন্ত্রণ না করলে হার্ট ফেইলিউর,লিভার ফেইলিউরসহ আরো অন্যান্য সমস্যা হয় এবং একসময় রোগীর মৃত্যু হয়। স্বাভাবিক পরিমাণ আয়রন যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় তেমনি ব্যাকটেরিয়াদের জন্য আয়রণ Booster Fuel হিসেবে কাজ করে।
১৩৪৭ সালে ইউরোপের Black Death এ প্রায় ২৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল। Yearsinia Pestis নামের ব্যাকটেরিয়া দিয়ে এই plague হয়েছিল।হেলথি এডাল্ট পুরুষদের আক্রান্ত হবার রিস্ক ছিল বেশি । স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে Hemochromatosis এর রোগীদের রিস্ক হাজারগুণে বেশি হওয়া উচিত কারণ তারা ব্যাকটেরিয়াদেরকে অনেক আয়রণ দিতে পারবে। কিন্তু ঘটনা ঘটেছিল উল্টো। Hemochromatosis এর রোগীরা ইনফেকশন রেসিস্ট্যান্ট ছিল।কারণ হল এই রোগীদের আয়রণ বেশি থাকলেও তাদের ম্যাক্রোফ্রেজে সুস্থ মানুষের তুলনায় আয়রণ কম ছিল।সুস্থ মানুষের ম্যাক্রোফেজে আয়রন তুলনামূলক বেশি থাকায় ফ্যাগোসাইটোসিস হবার পরে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস তো হতই না বরং আয়রন পেয়ে আরো ভয়াবহ রূপ নিত কিন্তু Hemochromatosis এ সুযোগ ছিল না।
ঘটনাটা Dr. Sharon Moalem এর ‘Survival of the sickest: A Medical Maverick Discovers why we need disease’ বইতে আছে।Sharon Moalem এর মতে জেনেটিক ডিজিজগুলোকে শুধু ডিজিজ হিসেবে দেখলে ভুল হবে বরং একটা জেনেটিক ডিজিজ আরো অনেকগুলো ডিজিজ থেকে প্রটেকশন দিতে পারে।

Evolution এর দুইটা Key Players হল – Survival and Reproduction. কোন ইনফেকশিয়াস ডিজিজের এর কারণে একজন হয়তো রিপ্রোডাক্টিভ এজের আগেই মারা যেতে পারে কিন্তু একটা জেনেটিক ডিজিজ যদি একজনকে রিপ্রোডাক্টিভ এজ পর্যন্ত সারভাইভ করতে সাহায্য করে তাহলে সে Evolution অনুযায়ী জয়ী হবে যেখানে অপরজন হবেন লুজার।
হ্যাঁ,জেনেটিক্যালি ডিজিজড লোকটাও এভারেজ লাইফ এক্সপেন্টন্সির আগে মারা যাবে কিন্তু সে তার Germline টাকে বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবে । আপনি যদি ১৩৪৭ সালের মত ভয়াবহ কোন প্লেগের মধ্য পড়েন আর আমি যদি আপনাকে এমন একটা ঔষধ অফার করি যা কিনা আপনাকে প্লেগ থেকে রক্ষা করবে ঠিকই কিন্তু আপনি এখন মারা না গিয়ে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ( Germline কে সারভাইভ করার জন্য এনাফ বয়স) বাঁচতে পারবেন তাহলে আপনি কি ঔষধটা খাবেন?
অনেকে হয়ত বিষয়টা এখন বুঝতে পেরেছেন যে, আমরা নরমালি ডিজিজ বলতে যা বুঝি আমাদের বায়োলজি সেটাকে ডিজিজ মনে করে না ।একটা ডিজিজ আরেকটা ডিজিজের ‘Cure’ হতে পারে বিষয়টা অনেকে কল্পনাও করে নি।Evolution এই কারণেই কিছু কিছু ডিজিজকে বজায় রাখবে কারণ সেগুলো আপনি যে এনভাইরনমেন্টে জন্ম নিয়েছেন হয়তো সে এনভাইরনমেন্টের অন্য কোন ডিজিজ থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
সহজ ভাষায় ফিটাস থাকা অবস্থাতেই প্রেগনেন্ট মাদার তার এনভাইরনমেন্ট থেকে ইনফরমেশন গ্রহণ করে এবং সে অনুযায়ী ফিটাসে এপিজেনেটিক চেঞ্জের মাধ্যমে জিন এক্সপ্রেশন পরিবর্তন আসে ফলে ফিনোটাইপিক্যাল চেঞ্জও হয়। এজন্য আমি একজন প্রেগন্যান্ট নারীকে ‘The Magnificent Biological Sensor’ বলি কারণ তার মাধ্যমেই ফিটাসের সাথে এনভাইরনমেন্টের ফাইন টিউনিং হয়। ফিটাসের ভবিষৎ স্বাস্থ্য (I mean evolutionary health not the conventionally accepted conception of health) ডিপেন্ড করে এনভাইরনমেন্টের সাথে তার Match or Mismatch এর উপর।
যাক, এত কথা এই কারণে বললাম যে ,কিছু রোগ হল আমাদের নরমাল বায়োলজিররি অংশ ,সেগুলোকে রিমুভ করা মানে হল নরমাল বায়োলজিকে বিঘ্নিত করা ,এর ফলে ফিডব্যাক সিস্টেমে পপুলশন বায়োলজি নরমাল স্টেজে যাবে। Dr. Peter Gluckman তার Mismatch বইতে এ বিষয়ে বলেছেন—
“The idea that disease could occur in human population as part of their normal biology and be induced by their interection with their seemingly normal environment is relatively new. It adds a new class of causation of disease to the pathology student’s list.”
Aetiology (origin) of disease এর প্রচলিত ধারণা থেকে এটা ভিন্ন যা কিনা ক্লাসিক্যাল প্যাথলজিতে পরিবর্তন নিয়ে আসছে । Ecological Development Biology (Eco-devo) এর মাধ্যমে মূলত ডিজিজের অরিজিনের নতুন ধারণাটা এসেছে যা কিনা Evolutionary Developmental Biology র (Evo-devo) সাথে রিলেটেড। তার মানে হিস্টোরিক্যাল বায়োলজির সাথে মেকানিস্টিক বায়োলজির ইন্ট্রিগেশন আমরা এই ধারণায় দেখতে পাই যা কিনা ক্ল্যাসিকাল প্যাথলজিতে এবসেন্ট।
কিছু ডিজিজ আমাদের জন্য পূর্বে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করেছে তার মানে এই না যে সেই ডিজিজগুলোর ট্রিটমেন্ট করা যাবে না। আমার পয়েন্ট হল যে আমরা ডিজিজের ট্রিটমেন্ট করতে পারব ঠিকই কিন্তু আমাদের নরমাল বায়োলজিই আবার নতুন নতুন ডিজিজের অরিজিনের কারণ হবে। তাই পৃথিবীকে কখনোই রোগমুক্ত করা যাবে না।
৩) মার্কের মত এই শতাব্দীর শেষে এভারেজ লাইফ এক্সপেন্টন্সি ১০০ হবে,এমনকি এর থেকে ভাল করাও নাকি সম্ভব। Planned Obsolescence নামে একটা ঘটনা মাঝে মাঝে ইলেক্ট্রনিক প্রোডাক্টসের ম্যানুফ্যাকচারাররা ঘটায়।এটার মানে হল একটা নির্দিষ্ট সময় পর আপনার প্রোডাক্ট নষ্ট হওয়া শুরু করবে। iPod এর সম্পর্কে এই রকম অভিযোগ এসেছিল যে, Apple প্ল্যান করে iPod এর ব্যাটারি লাইফ ১৮ মাস পর্যন্ত করেছে। এর মাধ্যমে দুইটা বেনেফিট পাওয়া যায় – একটা পায় কনসিউমাররা কারণ এর ফলে নতুন ভার্সনের প্রোডাক্ট আসে আরেকটা পায় ম্যানুফ্যাকচারার কারণ তারা নতুন আরেকটা বিক্রি করতে পারবে।
Biological Obsolescence এর ক্ষেত্রেও দুইটা বেনেফিট মানবজাতি পায় –
i)পুরোনো জেনারেশনের বিলুপ্তির মাধ্যমে নতুন জেনারশনের আর্বিভাব ঘটে ফলে নতুন জেনেটিক্যাল ট্রেটের আবির্ভাব হয় কারণ হল পরিবর্তিত নতুন ইনভাইরনমেন্টের সাথে ফাইন টিউনিং হয়।যার ফলে নতুন জেনারেশন এভুলুশনারি সেন্সে স্বাস্থ্যবান হয় ,যেখানে কিনা পুরোনো জেনারেশন এভুলুশনারি সেন্সে Obsolete হিসেবে বিবেচত হয় কারণ তারা অলরেডি Reproductive Age কাটিয়ে ফেলেছে অর্থাৎ মানে Evolution এর একটা KEY PLAYER তাদের নেই ফলে তাদের দীর্ঘদিন সার্ভাইভাল করিয়ে বায়োলজিক্যাল কোন বেনেফিট মানব জাতি পাবে না (এখানে আবার Eugenics এর গন্ধ পেয়েন না ,Eugenics এর বিষয়টার সাথে এটার পার্থক্য আছে)। তবে অবশ্যই তাদের শেষ সময়টা যেন ভাল কাটে সেটা ডাক্তাররা নিশ্চিত করবেন ।
ii) পুরোনো জেনারেশন অনেক সময় প্যাথজেনিক মাইক্রোভস বা পটেনশিয়াল প্যাথজেনিক মাইক্রোভ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে Symptomatic বা Asymptomatic হয়ে সেই মাইক্রোভগুলোর জন্য অন্যতম হোস্ট হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে যা কিনা নতুন জেনারেশনের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। তার মানে মার্ক জাকারবার্গ অস্থায়ীভাবে হয়তো লাইফ এক্সপেন্টেন্সি ১০০ দেখতে পারেন কিন্তু যখন মাইক্রোভরা থ্রেসহোল্ড ক্রস করে মানবজাতিকে ইনফেক্ট করা শুরু করবে তখন সেটা ৫০ বা তার কম হয়ে আবার স্ট্যাবল স্টেজে আসবে।
Leonard Hayflick নামের একজন বিজ্ঞানী ১৯৬০ এর দশকে আবিষ্কার করেন যে Cells একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক বার ডিভাইড হয়ে সেল ডিভিশন বন্ধ করে দেয় এবং মারা যায়। এটাকে Hayflick Limit বলে ।আমাদের ক্ষেত্রে এই লিমিট হল ৫২ থেকে ৬০। বায়োলজিক্যালি এইরকম লিমিটেশন আমরা দেখতে পাই মূলত ক্যান্সারের প্রটেকশন হিসেবে। লাইফ এক্সপেন্টন্সির বাড়ার সাথে সাথে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকাটা তাই অবাক হবার বিষয় না। Best of Luck ,Mark.
৪) ইনফিকশিয়াস ডিজিজকে পুরোপুরি পৃথিবী থেকে যারা বিদায় দিতে চান তারা Why we get sick বইয়ের লেখক Randolph M. Nesse এর এই বিষয়ে মতামতটা দেখতে পারেন—
“ Given that some bacteria and viruses treat us mainly as meals ,we can think of them as enemies. Unfortunately ,they are not just simple pests put here to bedevil us but sophisticated opponents. We have evolved defenses to counter their threts.They have evolved ways to overcome our defenses or even to use their own benefit. This endlessly escalating arms race explains why cannot eradicate all infections and also explains some auto immune diseases.”
৫) মার্কের এই বিষয়ে স্ট্যাটাস ও পোস্টে কয়েকজনকে কমেন্ট করতে দেখেছিলাম যে,ফার্মাচিউটিক্যাল কম্পানিরা নাকি মার্ককে সফল হতে দিবে না! বাংগালি কয়েকজনকেও পোস্ট দিতে দেখলাম যে ডাক্তাররা নাকি এর বিরোধিতা করবে কারণ এতে নাকি ডাক্তাররা স্বাস্থ্যকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। এই পাবলিকগুলোই বলে যে, ক্যান্সারের নিরাময়ের ড্রাগ আবিষ্কার হয়েছে যা কিনা ডাক্তার আর ফার্মাচিউটিক্যাল কম্পানি লুকিয়ে রেখেছে টাকার জন্য কিংবা বলে ভ্যাক্সিনেশন অকার্যকর । আচ্ছা,অনেক রোগের চিকিৎসা তো আবিষ্কৃত হয়েছে ,তো ভাই ডাক্তাররা তো বিলুপ্ত হয়ে যায় নাই ।বরং অনেক ডাক্তারদেরই এই আবিষ্কারগুলোতে ভূমিকা ছিল। আর ডিজিজের সংখ্যা নির্দিষ্ট না বরং ডিজিজ বায়োলজিক্যাল কনটেক্সট অনুযায়ী ফ্ল্যাকচুয়েট করে ।তাই ডাক্তারদের চিন্তার কিছু নাই। বরং আপনাদের মন থেকে অসুস্থ টাইপের কন্সপেরেসি থিওরিগুলো দূর করার চেষ্টা করুন।
শেষ কথা : নোটটা মূলত মার্কের নোটের বিরোধিতা করে লিখি নি । বরং মার্কের প্রশ্নটা অসাধারণ যার উত্তরটা আরো অসাধারণ। “Can we cure diseases in our children’s lifetime?” এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর হল ‘একটা বড় ধরনের না’। মার্কের এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই ।আমার মতে মার্ক সবচাইতে বেশি বেনিফিট পাবে যদি সে Evolutionary Medicine এর এই নতুন ফিল্ডে ইনভেস্ট করে। Evolutionary Medicine এর ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন একজন মা Magnificent Sensor হিসেব। ফিটাসের Development Plasticityতে একজন মা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন,মায়ের গর্ভেই ফিটাসে একটা ডেভলপমেন্টাল প্রেডিকশন তৈরী হয় এনভাইরনমেন্ট অনুযায়ী যা কিনা ফিটাসের Reproduction আর Survival কে অপটিমাল স্টেজে নিয়ে যায়। মার্কের উচিত এই Magnificent Sensor দিয়ে কাজ শুরু করা।

Comments

Popular posts from this blog

ভূমিকম্প ও ধর্মীয় বিশ্বাস

  ভূমিকম্প হওয়ার পর কতিপয় নাস্তিক ভ্রাতা তাদের স্বভাবমত বিশ্বাসীদের ব্যংগ করেছিল এই বলে যে , “ পূর্বে মানুষেরা বজ্রপাত দেখলে ভয় পেত এবং বজ্রপাতের মেকানিজম না জানায় তারা অজানা বিষয়গুলোর মেকানিজমের ক্ষেত্রে স্রষ্টার কথা উল্লেখ করত। ” ভূমিকম্পসহ যেকোন ধরনের প্রাকৃতিক ঘটনার মেকানিজম সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণাই হল যে , প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো কিছু Natural Laws মেনে চলে বলে সেগুলো ঘটে। তবে Plausible ধারণা হল এটাই যে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো মূলত দুইভাবে ঘটতে পারে - ১ )Directional Mechanism এর মাধ্যমে ২ ) Automatic Mechanism এর মাধ্যমে Deist রা বিশ্বাস করে যে স্রষ্টা Natural Laws কে তার নিজের মত কাজ করতে দেয় , ন্যাচারাল প্রসেসে Intervene করেন না।অর্থাৎ এরা পুরোপুরি Automatic Mechanism এ বিশ্বাস করে। কিন্তু একজন মুসলিম এইধরনের ধারণায় বিশ্বাস করে না। বরং স্রষ্টা যেকোন সময় সৃষ্টিজগতে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। এখন এই দুই মেকানিজম সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু ব্যাখ্যা দেই।এ

The Origin Of Science

১) বিজ্ঞানের প্রাথমিক বিষয়গুলোর উৎস কি ? সব কিছুরই একটা উৎস আছে । বিজ্ঞানেরও আছে।আপনি যদি ডারউইনিস্টদের মত ভাবেন বিজ্ঞান শুধুমাত্র মানবজাতির জানার আগ্রহ থেকে জন্ম নিয়েছে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের এত উন্নতির পিছনে মূলত দুইটা কারণ আছে।একটা হল মধ্যযুগের মুসলিমদের দ্বারা বিজ্ঞান চর্চা , আরেকটা হল ইউরোপের বিজ্ঞান বিপ্লব যা কিনা শুরু হয়েছিল Giordano Brunoর মাধ্যমে এবং শেষ হয়েছিল নিউটনের Principia Mathematica দিয়ে।এরপর মানবজাতিকে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে আর বেশি কষ্ট করতে হয়নি। এখানে অবাক করার বিষয় হল

বৃত্ত

বৃত্ত (Circle) ও গোলকের (Sphere) মাঝে কিন্তু পার্থক্য আছে। বৃত্ত হল Two dimensional Shape কিন্তু গোলক হল Three dimensional Shape।এই কারণে আমরা কাগজে বৃত্ত আঁকতে পারি কিন্তু গোলক আঁকতে পারি না। Edwin Abbott এর Flatland: A Romance of Many Dimensions নামে একটা বই আছে। বইটার কাহিনী কিছুটা এইরকম--