Skip to main content

ভূমিকম্প ও ধর্মীয় বিশ্বাস

 

ভূমিকম্প হওয়ার পর কতিপয় নাস্তিক ভ্রাতা তাদের স্বভাবমত বিশ্বাসীদের ব্যংগ করেছিল এই বলে যে, “পূর্বে মানুষেরা বজ্রপাত দেখলে ভয় পেত এবং বজ্রপাতের মেকানিজম না জানায় তারা অজানা বিষয়গুলোর মেকানিজমের ক্ষেত্রে স্রষ্টার কথা উল্লেখ করত।

ভূমিকম্পসহ যেকোন ধরনের প্রাকৃতিক ঘটনার মেকানিজম সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণাই হল যে, প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো কিছু Natural Laws মেনে চলে বলে সেগুলো ঘটে।

তবে Plausible ধারণা হল এটাই যে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো মূলত দুইভাবে ঘটতে পারে-

)Directional Mechanism এর মাধ্যমে

) Automatic Mechanism এর মাধ্যমে

Deistরা বিশ্বাস করে যে স্রষ্টা Natural Lawsকে তার নিজের মত কাজ করতে দেয়,ন্যাচারাল প্রসেসে Intervene করেন না।অর্থাৎ এরা পুরোপুরি Automatic Mechanism বিশ্বাস করে।

কিন্তু একজন মুসলিম এইধরনের ধারণায় বিশ্বাস করে না। বরং স্রষ্টা যেকোন সময় সৃষ্টিজগতে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

এখন এই দুই মেকানিজম সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু ব্যাখ্যা দেই।এই ব্যাখ্যাটা শুধু আর্গুমেন্টের সাথে রিলেটেড ,ইসলামের আক্বীদা বিষয়ক কিছুর সাথে রিলেটেড না।

Directional Mechanism (DM) স্রষ্টা সরাসরি সৃষ্টিকে নির্দেশ দেয় এবং তা ডাইরেক্টলিও কাজ করতে পারে আবার এই নির্দেশই Automatic Mechanism (AM) কে ডাইরেক্ট করতে পারে অথবা DM কনভার্টেড হয়ে AM যেতে পারে এবং সম্ভবত এই কনভার্শন Symmetry Maintain করে হয়। অর্থাৎ Automatic Mechanism মূলত ডাইরেকশনাল মেকানিজমের উপরই ডিপেন্ডেন্ট।তার মানে সেটা স্রষ্টার উপরই ডিপেন্ডেন্ট।

তবে এটা সত্য যে আমাদের কাছে Automatic Mechanism ইন্ডিপেন্ডেন্ট মনে হয় ।কারণ আমাদের Directional Mechanism বুঝার দেখার সার্মথ্য নেই।তাই আমাদের ক্ষেত্রে Directional Mehcanism কনভার্টেড হয়ে Independent Automatic Mechanism রূপ নেয় এবং আমরা এই মেকানিজমকে বিভিন্ন Natural Law এর দ্বারা প্রকাশ করি।

ফিজিসিস্ট Paul Davies তার বই God and The New Physics- এই বিষয়ে একটা সুন্দর এনালজি দিয়েছেন।সেটা হল-

মনে করুন 3D জগত থেকে একজন মেশিন-গানার 2D স্ক্রিনে গুলি করতে করতে ডান পাশ থেকে বাম পাশে যাচ্ছে যাতে করে প্রতিটি গুলির দ্বারা তৈরী ছিদ্রগুলোর দূরত্ব সমান হয়।এখন 2D জগতে বসবাসকারী বিজ্ঞানী জ্যামিতির দ্বারা লিমিটেড হওয়ায় মেশিন-গানার সম্পর্কে অজ্ঞ থাকবে কিন্তু সে ছিদ্রগুলোকে দেখতে পাবে।

কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর সে বুঝতে পারবে যে ছিদ্রগুলো রেন্ডমলি সৃষ্টি হচ্ছে না বরং একটা নিয়ম (সমান দূরত্ব) মেনে সৃষ্টি হচ্ছে এবং তাতে Regularity বিদ্যমান থাকছে।অতঃপর এই বিষয়টাকে সে The Law Of Hole Creation হিসেবে নামকরণ করবে। "একটা ছিদ্রের উপস্থিতির কারণে আরেকটা ছিদ্রের নিয়মানুযায়ী আর্বিভাব হচ্ছে"- এই সিদ্ধান্তে সে উপনীত হবে।

অথচ প্রতিটি ছিদ্র সৃষ্টি হচ্ছে মেশিন-গানারের কারণে ।সেই চাইলে যেকোন সময়ই ছিদ্রগুলোর দূরত্ব পরিবর্তন করতে পারে আর সেটার কনভার্শন না হলে 2D এর সাইন্টিস্টের কাছে সেটা মিরাকল বলে আর্বিভূত হবে। কনভার্শন হলে সে তার Law দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারলেও বুঝতে পারবে না যে এটা অটোমেটিক নয়।

শেষ কথা : আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টিকে ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারা সতর্ক করতে পারেন। কিভাবে তিনি সেটা করেন তা আমরা জানি না।

উপরিউক্ত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে শুধুমাত্র আর্গুমেন্টের স্বার্থে এবং আর্গুমেন্ট দ্বারা এটাই বুঝা যায় যে প্রকৃত ঘটনা বা মেকানিজমটা আরো অসাধারণ হবে।কারণ আল্লাহ্ তাআলা সর্বশ্রেষ্ঠ।

(এখানে মুজেযার বিষয়টা আলোচনা করলাম না কারণ মুজেযার বিষয়টা আনলে Occams Razor নিয়ে আলোচনা করতে হবে।তাই সেটা নিয়ে আলাদাভাবে লিখতে পারি।)

Comments

Popular posts from this blog

The Origin Of Science

১) বিজ্ঞানের প্রাথমিক বিষয়গুলোর উৎস কি ? সব কিছুরই একটা উৎস আছে । বিজ্ঞানেরও আছে।আপনি যদি ডারউইনিস্টদের মত ভাবেন বিজ্ঞান শুধুমাত্র মানবজাতির জানার আগ্রহ থেকে জন্ম নিয়েছে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের এত উন্নতির পিছনে মূলত দুইটা কারণ আছে।একটা হল মধ্যযুগের মুসলিমদের দ্বারা বিজ্ঞান চর্চা , আরেকটা হল ইউরোপের বিজ্ঞান বিপ্লব যা কিনা শুরু হয়েছিল Giordano Brunoর মাধ্যমে এবং শেষ হয়েছিল নিউটনের Principia Mathematica দিয়ে।এরপর মানবজাতিকে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে আর বেশি কষ্ট করতে হয়নি। এখানে অবাক করার বিষয় হল

বৃত্ত

বৃত্ত (Circle) ও গোলকের (Sphere) মাঝে কিন্তু পার্থক্য আছে। বৃত্ত হল Two dimensional Shape কিন্তু গোলক হল Three dimensional Shape।এই কারণে আমরা কাগজে বৃত্ত আঁকতে পারি কিন্তু গোলক আঁকতে পারি না। Edwin Abbott এর Flatland: A Romance of Many Dimensions নামে একটা বই আছে। বইটার কাহিনী কিছুটা এইরকম--