Skip to main content

The Independent Entity


এক নাস্তিক আমার Meaningful or Meaningless? সিরিজের ২য় পর্বে কিছু প্রশ্ন করেছিল।সে জিজ্ঞেস করেছিল যে "আল্লাহ্‌ তাআলার সৃষ্টি কর্তা কে? তিনি নারী নাকি পুরুষ?" আর আমার যতদূর মনে পড়ে সে আরো বলেছিল যদি আমি উত্তর দিতে পারি তাহলে সে মুসলিম হয়ে যাবে কিন্তু সে কমেন্টটা আর দেখছি না। তারপর আমি এমন এক উত্তর দিলাম যেটা ছিল তার চিন্তার সাপেক্ষে Counterintuitive। 
উত্তরটা ছিল এইরকম- 



“ সরলতার জন্য ধরুন এই মহাবিশ্বের Anthropic Conditionগুলোকে (Input) এবং মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান প্রাণীর বাসযোগ্য গ্রহ/Biosphere (Output) কে y=f(x) [Here b=0] সমীকরণ দ্বারা প্রকাশ করতে চাচ্ছি। 

এখানে y (Output)=Dependent Variable =carbon-based Intelligent Life

x(Input)= Independent Variable = Anthropic Conditions 

y এর কালেকশনকে Range of function এবং x এর কালেকশনকে Domain of function বলা হয়। 

লক্ষ্য করুন আমরা মানুষরা হলাম Output (Dependent Variable ) কিন্তু Anthropic Conditionগুলো (Input) অর্থাৎ যে শর্তগুলো না থাকলে আমাদের অস্তিত্ব থাকত না সেগুলো Independent Variable এর অন্তর্ভুক্ত।এর মানে হল আমরা Independent Variable এর উপর ডিপেন্ড করি। 

Independent Variable এর সূক্ষ্ম পরিবর্তন আমাদের অস্তিত্ব বিলীন করে দিতে পারে। কিন্তু যিনি এই Independent Variableগুলো সৃষ্টি করেছেন তাঁর কাছে এই Variableগুলো Dependent হিসেবে বিবেচিত হবে অর্থাৎ তিনি চাইলেই (আমাদের )Independent Variableগুলোকে পরিবর্তন করতে পারেন যথাযথভাবে। তাঁর মানে Independent Variableগুলোর সত্ত্বাকে অবশ্যই স্বাধীন সত্ত্বা হতে হবে।আমাদের সাপেক্ষে যেগুলো Independent Variable, সেগুলোকে যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই, তিনি চিরন্তন। 

যদি তাঁর সৃষ্টিকর্তা থাকত তাহলে Independent Variableগুলোর সৃষ্টিই হত না কারণ Independent Variableগুলোকে ডিপেন্ডেন্ট হতে হলে ইনডিপেন্ডেট সত্ত্বার প্রয়োজন। তাঁর মানে আল্লাহ্‌ তাআলার সৃষ্টিকর্তা কে?-এই প্রশ্নটা অযৌক্তিক। 

আর বাকি যে প্রশ্নগুলো করেছেন সেগুলো আপনি মানুষের বৈশিষ্ট্যগুলো রেফারেন্স ফ্রেম হিসেবে ধরে করেছেন যেটা কিনা অযৌক্তিক। কারণ ইনডিপেন্ডেন্ট সত্ত্বাকে Dependent Variable এর বৈশিষ্ট্য দ্বারা বিবেচনা করা যাবে না। একটু চিন্তা করুন ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।”

এটা খুবই সিম্পল ব্যাখ্যা।কারণ আমি জটিলতা এড়াতে এখানে লিনিয়ার ফাংশনকে আমি ব্যবহার করেছি।অথচ লিভিং সিস্টেম নন-লিনিয়ার ফাংশন অনুসরণ করে।আর এখানে লিনিয়ার ও নন-লিনিয়ারের মধ্যে ইন্টারেকশনও আছে অর্থাৎ এটা একটা ভয়াবহ জটিল ফাংশন হবে।আমি যেটা ব্যবহার করেছি সেটা শুধুমাত্র একটা উদাহরণ। 

এই উত্তর দেয়ার পর তাকে আর রিপ্লাই দিতে দেখলাম না।আমি বলব না যে সে পালিয়ে গিয়েছে বরং আমি বলতে চাই যে আর্গুমেন্ট আমরাও দাঁড় করাতে পারি এবং সেটার প্রেমিজগুলো নিয়ে আমরাও যৌক্তিকভাবে আলোচনা করতে পারি।

হুজুররা বিজ্ঞানমনস্ক না,তারা যুক্তি বুঝে না-এইধরনের কথা বলে যারা মুখে ফেনা তুলছেন তারা যে কতবড় মূর্খ সেটা তারা নিজেরাও জানে না। 

বিজ্ঞান নাস্তিকদের পৈতৃক সম্পত্তি না।বরং বিজ্ঞানের জন্মই হয়েছে এমন এক ব্যক্তির [ইদরীস (আ)/Enoch/Hermes Trismegistus] দ্বারা যিনি তাওহীদে বিশ্বাসী ছিলেন। বর্তমানে বিশ্বে একমাত্র মুসলিমরাই সবচাইতে সঠিকভাবে তাওহীদে বিশ্বাস করছে। 

Comments

Popular posts from this blog

ভূমিকম্প ও ধর্মীয় বিশ্বাস

  ভূমিকম্প হওয়ার পর কতিপয় নাস্তিক ভ্রাতা তাদের স্বভাবমত বিশ্বাসীদের ব্যংগ করেছিল এই বলে যে , “ পূর্বে মানুষেরা বজ্রপাত দেখলে ভয় পেত এবং বজ্রপাতের মেকানিজম না জানায় তারা অজানা বিষয়গুলোর মেকানিজমের ক্ষেত্রে স্রষ্টার কথা উল্লেখ করত। ” ভূমিকম্পসহ যেকোন ধরনের প্রাকৃতিক ঘটনার মেকানিজম সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণাই হল যে , প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো কিছু Natural Laws মেনে চলে বলে সেগুলো ঘটে। তবে Plausible ধারণা হল এটাই যে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো মূলত দুইভাবে ঘটতে পারে - ১ )Directional Mechanism এর মাধ্যমে ২ ) Automatic Mechanism এর মাধ্যমে Deist রা বিশ্বাস করে যে স্রষ্টা Natural Laws কে তার নিজের মত কাজ করতে দেয় , ন্যাচারাল প্রসেসে Intervene করেন না।অর্থাৎ এরা পুরোপুরি Automatic Mechanism এ বিশ্বাস করে। কিন্তু একজন মুসলিম এইধরনের ধারণায় বিশ্বাস করে না। বরং স্রষ্টা যেকোন সময় সৃষ্টিজগতে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। এখন এই দুই মেকানিজম সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু ব্যাখ্যা দেই।এ

The Origin Of Science

১) বিজ্ঞানের প্রাথমিক বিষয়গুলোর উৎস কি ? সব কিছুরই একটা উৎস আছে । বিজ্ঞানেরও আছে।আপনি যদি ডারউইনিস্টদের মত ভাবেন বিজ্ঞান শুধুমাত্র মানবজাতির জানার আগ্রহ থেকে জন্ম নিয়েছে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের এত উন্নতির পিছনে মূলত দুইটা কারণ আছে।একটা হল মধ্যযুগের মুসলিমদের দ্বারা বিজ্ঞান চর্চা , আরেকটা হল ইউরোপের বিজ্ঞান বিপ্লব যা কিনা শুরু হয়েছিল Giordano Brunoর মাধ্যমে এবং শেষ হয়েছিল নিউটনের Principia Mathematica দিয়ে।এরপর মানবজাতিকে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে আর বেশি কষ্ট করতে হয়নি। এখানে অবাক করার বিষয় হল

বৃত্ত

বৃত্ত (Circle) ও গোলকের (Sphere) মাঝে কিন্তু পার্থক্য আছে। বৃত্ত হল Two dimensional Shape কিন্তু গোলক হল Three dimensional Shape।এই কারণে আমরা কাগজে বৃত্ত আঁকতে পারি কিন্তু গোলক আঁকতে পারি না। Edwin Abbott এর Flatland: A Romance of Many Dimensions নামে একটা বই আছে। বইটার কাহিনী কিছুটা এইরকম--