Skip to main content

Autonomous Biology

১৪ ডিসেম্বর, ১৯০০ সালে জার্মান পদার্থবিদ ম্যাক্স প্ল্যাংক জার্মান ফিজিক্যাল সোসাইটিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তার Radiation Theory প্রেজেন্ট করার সময় বলেছিলেন- 

“We therefore regard—and this is the most essential point of the entire calculation—energy to be composed of a very definite number of equal finite packages” [ The Quantum Story by Jim baggott,Part-1,Chapter-1] 

তার অসাধারণ থিওরি ক্ল্যাসিকাল থিওরি অফ রেডিয়েশন থেকে ভিন্ন ছিল কারণ
ক্ল্যাসিকাল থিওরিতে এনার্জিকে Continuous মনে করা হত কিন্তু প্ল্যাংক বলেছিলেন যে উষ্ণ বস্তু থেকে এনার্জি Indivisible Package বা Quanta হিসেবে বের হয়।সহজভাবে বলতে গেলে ক্ল্যাসিকাল থিওরিতে এনার্জি রিলিজ হওয়ার বিষয়টাকে পানির ট্যাপ থেকে একটানা পানি বের হওয়ার সাথে তুলনা করা যায় কিন্তু প্ল্যাংকের মতে এনার্জি রিলিজ হয় পানির ফোঁটার মত করে,প্রতিটা ফোঁটা যেন এক একটা Quanta। 

ঊনবিশং শতাব্দীর শেষে ফিজিক্সের একটা অসাধারণ থিওরির প্রয়োজন ছিল।আর সেই থিওরির শুরু হয়েছিল ম্যাক্স প্ল্যাংকের এই ১৪ ডিসেম্বরের প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে যার নাম দেয়া হয়েছিল- Quantum Theory। এইজন্য ১৪ ডিসেম্বরকে কোয়ান্টাম থিওরির জন্মদিবস হিসেবে মনে করা হয়।আর প্ল্যাংকের এই ধারণাকেই 
এক্সটেন্ড করে আইন্সটাইন Photoelectric Effect কে এক্সপ্লেইন করে ১৯২১ সালে নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন।

মেকানিস্টিক বায়োলজিক্যাল ফিল্ডের ছাত্র হওয়ায় Quantum Mechanics এর বিষয়টা নিয়ে আমার আগ্রহ আছে।হিউম্যান বডিকে ফিলোসফার Descartes মেকানিস্টিক ভিউতে দেখতেন।Descartes এর মেকানিস্টিক এপ্রোচের সাথে একমত হয়েই হয়ত ফিজিশিয়ান William Harvey হার্টের সাথে মেকানিক্যাল পাম্পের সিমিলারিটি দেখতে পেয়েছিলেন।

আমাদের বডিতে ফ্রি এনার্জি তৈরী হয় র‍্যান্ডম মলিকুলার কলিশন ও তাদের মধ্যে রিয়্যাকশনের মাধ্যমে যা কিনা থার্মোডাইনামিক্সের প্রিন্সিপাল মেনে চলে।যেটাকে বলা যায় Order from disorder।কোয়ান্টাম মেকানিক্সের পূর্বে এই ব্যাখ্যাটা ভালোই ছিল কিন্তু এর অসম্পূর্ণতা প্রকাশ পায় Erwin Schrödinger এর মাধ্যমে।Schrödinger এর মতে ‘Some of the tiniest biological machines are just too small to be governed by classical laws.’

তিনি ক্যালকুলেশন করে বের করেছিলেন যদি Heredity ক্ল্যাসিকাল স্টাটিস্ক্যাল ল মেনে চলে তাহলে Error জেনারেশনের রেট হবে ১ হাজারে ১টা কিন্তু আমরা জানি জেনিটিক্যাল এরর আরো অনেক কম হয়,১ বিলিয়নে ১টার থেকেও কম। বুঝাই যাচ্ছে যে মাইক্রোস্কোপিক লেভেলে বায়োলজিক্যাল একটিভিটির ক্ল্যাসিকাল ল থেকে ডিভিয়েশন হয়।এজন্য Schrödinger বলেছিলেন যে Heredity মূলত পরিচালিত হয় Order from order প্রিন্সিপল অনুযায়ী।

Schrödinger তার বই ‘What is Life?’ এ বলেছেন-

“The living organism seems to be a marcroscopic system which in part of its behavior approaches to that…to which all systems tend, as the temperature approaches the absolute zero and the molecular disorder is removed.”

এই এবসুলেট জিরোতে সব বস্তুই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কনসিডারেশনে চলে যায়,থার্মোডাইনামিক্সে না।Schrödinger এর মতে লাইফ হল Quantum-level Phenomenon ।

এই পর্যন্ত পড়ে যারা বুঝতে পেরেছেন তারা হয়তো ভাবছেন আসলেই হয়তো বায়োলজিকে মেকানিস্টইক্যালি রিডাকশনাল ভিউ নিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে। কিন্তু এই থিওরির ভিলেনের কথা এখনো আমি বলি নি ।
এই সুন্দর থিওরির জন্য ভিলেন হলেন বিংশ শতাব্দীর লিডিং এভুলশনারি বায়োলজিস্ট Ernst Mayr। উনি হলেন বায়োলজির অন্য শাখা হিস্টোরিক্যাল বায়োলজির সেরা এক্সপার্টদের একজন।

উনার কিছু অসাধারণ কথা আছে বায়োলজির ফিলোসফি নিয়ে যেগুলো সুন্দর করে ফ্রেমে বাঁধাই করে দেয়ালে টাঙ্গিয়ে রাখার মত। তবে আমি মেকানিস্টিক ফিল্ডের হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তার বেশ কিছু কথার সাথে আমি একমত না। Mayr এর মতে বায়োলজিক্যাল সিস্টেম খুব ভয়াবহ রকম কমপ্লেক্স হওয়ায় মাইক্রোকসমসের উপর এপ্লিকেবেল ফিজিক্যাল ল বায়োলজিক্যাল সিস্টেমকে কমপ্লিটলি এক্সপ্লেইন করতে পারবে না।তার এই কথাটি খুবই শক্তিশালী।

Quantum Biologyর ফিল্ড ধীরে ধীরে এক্সপান্ড হচ্ছে।আশা করি , কোয়ান্টাম মেকানিক্স Mayr কে ভুল প্রমাণ করে বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের একটা অসাধারণ মেকানিস্টিক এক্সপ্লেনেশন দিতে পারবে।আর যদি এটা ঘটে তাহলে বায়োলজিক্যাল ফিল্ডগুলোর অনেক উন্নতি হবে এবং সম্ভবত চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতি সবচাইতে বেশি হবে। এটা একটা সুন্দর স্বপ্ন কিন্তু এই স্বপ্ন সম্পর্কে Ernst Mayr মনে করেন -

“This is a beautiful dream but none of the autonomous features of biology can possibly be unified with any of the laws of physics” [What makes biology unique? By Ernst Mayr ,Chapter-2]

Mayr এর কথাটি যেন ভুল প্রমাণিত হয় সেটা পুরো মানবজাতির কামনা করা উচিত।

Comments

Popular posts from this blog

ভূমিকম্প ও ধর্মীয় বিশ্বাস

  ভূমিকম্প হওয়ার পর কতিপয় নাস্তিক ভ্রাতা তাদের স্বভাবমত বিশ্বাসীদের ব্যংগ করেছিল এই বলে যে , “ পূর্বে মানুষেরা বজ্রপাত দেখলে ভয় পেত এবং বজ্রপাতের মেকানিজম না জানায় তারা অজানা বিষয়গুলোর মেকানিজমের ক্ষেত্রে স্রষ্টার কথা উল্লেখ করত। ” ভূমিকম্পসহ যেকোন ধরনের প্রাকৃতিক ঘটনার মেকানিজম সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণাই হল যে , প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো কিছু Natural Laws মেনে চলে বলে সেগুলো ঘটে। তবে Plausible ধারণা হল এটাই যে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো মূলত দুইভাবে ঘটতে পারে - ১ )Directional Mechanism এর মাধ্যমে ২ ) Automatic Mechanism এর মাধ্যমে Deist রা বিশ্বাস করে যে স্রষ্টা Natural Laws কে তার নিজের মত কাজ করতে দেয় , ন্যাচারাল প্রসেসে Intervene করেন না।অর্থাৎ এরা পুরোপুরি Automatic Mechanism এ বিশ্বাস করে। কিন্তু একজন মুসলিম এইধরনের ধারণায় বিশ্বাস করে না। বরং স্রষ্টা যেকোন সময় সৃষ্টিজগতে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। এখন এই দুই মেকানিজম সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু ব্যাখ্যা দেই।এ

বৃত্ত

বৃত্ত (Circle) ও গোলকের (Sphere) মাঝে কিন্তু পার্থক্য আছে। বৃত্ত হল Two dimensional Shape কিন্তু গোলক হল Three dimensional Shape।এই কারণে আমরা কাগজে বৃত্ত আঁকতে পারি কিন্তু গোলক আঁকতে পারি না। Edwin Abbott এর Flatland: A Romance of Many Dimensions নামে একটা বই আছে। বইটার কাহিনী কিছুটা এইরকম--

The Origin Of Science

১) বিজ্ঞানের প্রাথমিক বিষয়গুলোর উৎস কি ? সব কিছুরই একটা উৎস আছে । বিজ্ঞানেরও আছে।আপনি যদি ডারউইনিস্টদের মত ভাবেন বিজ্ঞান শুধুমাত্র মানবজাতির জানার আগ্রহ থেকে জন্ম নিয়েছে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের এত উন্নতির পিছনে মূলত দুইটা কারণ আছে।একটা হল মধ্যযুগের মুসলিমদের দ্বারা বিজ্ঞান চর্চা , আরেকটা হল ইউরোপের বিজ্ঞান বিপ্লব যা কিনা শুরু হয়েছিল Giordano Brunoর মাধ্যমে এবং শেষ হয়েছিল নিউটনের Principia Mathematica দিয়ে।এরপর মানবজাতিকে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে আর বেশি কষ্ট করতে হয়নি। এখানে অবাক করার বিষয় হল